উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিন আর্জেন্টাইন রেফারি

খেলাধূলা: কোপা আমেরিকায় রেফারি নিয়ে বিতর্ক চলছে বহুদিন আগে থেকেই। লিওনেল মেসি ২০১৯ সালেই সরব হয়েছিলেন কনমেবলের রেফারিং নিয়ে। চলতি আসরেও একাধিকবার বিতর্ক উসকে দিয়েছেন রেফারিরা। দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর থাকলেও এর কার্যকারীতা আর ধীরগতিও জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের।

এবার সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে কনমেবল। ব্রাজিল বনাম উরুগুয়ের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আর্জেন্টিনার রেফারিকে। সেটাও একজন নয়। সবমিলিয়ে তিনজন আর্জেন্টাইন রেফারিকে ব্রাজিলের পরের ম্যাচে দেখা যাবে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্রাজিল ভক্তরা।

কনমেবলের প্রকাশিত ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকায় অনুযায়ী, ব্রাজিল ও উরুগুয়ে ম্যাচে মূল রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আর্জেন্টিনার দারিও হেরেরা। তার সহকারী হিসেবে থাকবেন হুয়ান বেলাত্তি ও ক্রিস্টিয়ান নাভারো। তারা তিনজনই আর্জেন্টাইন৷ ভিএআরের দায়িত্বে থাকবেন এদিন মেক্সিকোর গুইলারমো পাসেকো। এল সালভাদরের ইভান বারটন থাকবেন চতুর্থ রেফারি হিসেবে এবং পঞ্চম রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন নিকারাগুয়ার হেনরি পুপিরো।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার রেফারিকে দায়িত্ব দেওয়ায় শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। অনেক ব্রাজিল ভক্ত সমালোচনা করেছেন কনমেবলের। তাদের শঙ্কা, ব্রাজিলের বিপক্ষে পক্ষপাতমূলক সব সিদ্ধান্ত আসতে পারে আর্জেন্টাইন রেফারিদের কাছ থেকে।

এর আগে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল-কলম্বিয়ার ম্যাচকে কেন্দ্র করেই মূলত শুরু হয় এই বিতর্ক। সেই ম্যাচে ভিএআরের দায়িত্বে ছিল আর্জেন্টাইন রেফারি মাউরো ভিগলিয়ানো। যেখানে ব্রাজিলের আবেদন করা পেনাল্টি নাকচ করে দেন তিনি। এমনকি এই সিদ্ধান্তের কারণে পরবর্তী ব্রাজিলের কাছে ক্ষমাও চাইতে হয় কনমেবলকে।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৪২ মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তাকে ফাউল করে ফেলে দেন কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল মুনোজ। সেই ফাউলটি পেনাল্টি হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুই মিনিট সময় নিয়ে দেখেন রেফারি ভিগলিয়ানো। পরবর্তীতে পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন তিনি।

এমন কিছুর পর স্বাভাবিকভাবেই উরুগুয়ে ম্যাচ নিয়ে কনমেবলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল ভক্তরা। যদিও এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই বক্তব্য আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *