শহীদ হওয়ার কথা বলা ওয়াসিমের মৃত্যু হলো ছুরিকাঘাতে

১৪ ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে ওয়াসিম আকরাম লিখেছেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আমার প্রাণের সংগঠন। আমি এই পরিচয়ে শহীদ হবো।’ ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামে কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন ওয়াসিম। তারা বিকেল চারটার দিকে নগরীর মুরাদপুরের শিক্ষাবোর্ডের সামনে অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা, মো. ওয়াসিম আকরাম কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার মেহেরনামা বাজার পাড়া ৯নং ওয়ার্ড এলাকার শফিউল আলমের ছেলে। তার বাবা ও ওয়াসিমের বড় ভাই আশরাপ আলী সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। চট্টগ্রাম কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ওয়াসিম কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক নেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত পরশু আমাদের সঙ্গে মিছিলে ছিল। আজকে শিক্ষা বোর্ডের সামনে ওরা ছিল। সেখানে ছাত্রলীগের ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ওয়াসিমসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যরা হলেন, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও ফারুক। এর মধ্যে ফয়সাল আহমেদ শান্ত নগরের এমইএস কলেজের ছাত্র। পথচারী ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনা তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুজনের অবস্থা গুরুতর।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *