আলট্রা-সাউন্ড ছাড়াই যেসব লক্ষণে বুঝবেন জরায়ুতে সিস্ট হয়েছে

পিসিওডি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে ওভারি অস্বাভাবিকভাবে অ্যান্ড্রোজেন উৎপন্ন করে এবং এর জেরে ওভারি বা জরায়ুতে সিস্ট গঠিত হয়। আর এই অবস্থায় বাড়তে থাকে ওজন আর অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা। বয়স ১৫ হোক বা ২৫, বেশির ভাগ নারীরাই ভুগছেন এই পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে। এর পিছনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। চলুন জেনে নেওয়া যাক আলট্রা-সাউন্ড ছাড়াই যেসব লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝবেন জরায়ুতে সিস্ট হয়েছে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন জরায়ুতে সিস্ট হয়েছে—

ওভারিতে সিস্টের কারণ এবং প্রতিকার | Types,symptoms and reasons of Ovarian  Cysts

  • বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পিসিওডি হলে দেহে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। মুখের লোমের আধ্যিক বাড়তে থাকে, ব্রণ হয়। হতে থাকে মুড সুইংও।
  • অনেক নারীরাই প্রাথমিক স্তরে বুঝতে পারেন না যে, তাদের ওভারিতে সিস্ট তৈরি হচ্ছে। অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে পিসিওডি ধরা পড়ে না।
  • পিসিওডি বা পিসিওএস-এ ভুগলে ওজন বেড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। এই সময় দেহে শর্করার মাত্রা ও কর্ট‌িসল লেভেল ওঠা-নামা করে। এর জেরে ওজন বাড়তে থাকে।
  • পিসিওএস হলে দেহে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও দেখা দেয়। এর জেরে দেহে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। পাশাপাশি মিষ্টি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়।
  • পিসিওএস-এ ভুগলে দেহে কর্টি‌সল ও থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কাজ করার এনার্জি কমে যায়। সুতরাং, পিসিওএস-এ ভুগলে শরীর দুর্বল হয়ে থাকে।
  • পিসিওএস-এ আক্রান্ত হলে মারাত্মক চুল পড়ে। কোকোন শ্যাম্পু-তেল মেখেও চুল ঝরা বন্ধ করা যায় না। এ ছাড়া অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং ঋতুস্রাবের সময় মারাত্মক তলপেটে যন্ত্রণা রয়েছে। এগুলো দেখেই বুঝতে পারবেন যে, আপনি পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *