ওয়াইফাইয়ের গতি বাড়ানোর কৌশল

কয়েকদিন আগেও ওয়াইফাইয়ের গতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এর গতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না কোনো সংস্থার নেটওয়ার্কের পক্ষেই। আগে যারা ফোনের ‘হটস্পট’ নিয়ে মাতামাতি করতেন, এখন তারাই রীতিমতো ওয়াইফাইয়ের ভক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিকমাধ্যমে ঘোরাফেরা কিংবা টুকটাক চ্যাট করার জন্য ফোনের নেটওয়ার্কই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে গেলে উল্টো বিপত্তি ঘটে। আকার ও আয়তনে একটু ভারি ফাইল পাঠাতে অন্তত পক্ষে আধাঘণ্টা সময় লাগে। সিরিজ বা সিনেমা দেখার কথা তো দূরে থাক, সামান্য একটা ছবি ডাউনলোড করতে গেলে ‘ভাগ্যের’ থুড়ি স্ক্রিনের চাকা ঘুরেই চলেছে। একপ্রকার বিরক্ত হয়ে টাকা খরচ করে বাড়িতেই ‘ওয়াইফাই’ সংযোগ নিয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভ কী?

লাভের হিসাবে তোয়াক্কা না করে ওয়াইফাই লাগানো হয়। ব্যবহার করে দেখা যায় ভালোই চলে। কয়েক দিন পর আবার সেই একই রকম সমস্যা দেখা দেয়। রাতের দিকে তবু ওয়াইফাইয়ের গতি একরকম থাকে। কিন্তু দিনের বেলা সেই যন্ত্রটির গতি একেবারে গরুর গাড়ির মতো হয়ে যায়। এত টাকা খরচ করে যে যন্ত্রটি কিনলেন, তার গতি বাড়িয়ে তোলার কৌশল জেনে নিন। কীভাবে ওয়াইফাইয়ের গতি বাড়াবেন আসুন জেনে নেই কিছু কৌশল- ১. যেখানে রাউটার রয়েছে, তার কাছাকাছি বসার চেষ্টা করুন। ২. রাউটারের ফার্মওয়্যারটি আপডেট করতে পারলে ভালো হয়। ৩. ওয়াইফাইয়ের রাউটারটি খোলামেলা জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। তাতে সিগন্যাল জট অনেকটাই কাটবে। ৪. রাউটারের সঙ্গে ‘ব্যান্ড স্টিয়ারিং’ যুক্ত করুন। এ যন্ত্রাংশটি মূলত রাস্তার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মতো কাজ করে থাকে। যাতে নির্দিষ্ট ডিভাইজের সঙ্গে রাউটার অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত থাকতে পারে। তবে এ যন্ত্রটির পেছনে কিছু গচ্চা আছে। ৫. ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে পুরোনো কোনো ডিভাইজ যেন যুক্ত না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ৬. একটি রাউটারের সঙ্গে অনেক ডিভাইজ় যুক্ত থাকতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে সবকটি ডিভাইজে কাজ করলে গতিপথ শ্লথ হতে বাধ্য। ৭. মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে অকাজের খোলা ভিডিও বন্ধ করে দিতে হবে। জুম বা স্কাইপে ভিডিও মিটিং চললেও একই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অন্য কোনো উইন্ডো বন্ধ করে ভিডিও মিটিং করুন।

সূএ: কালবেলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *