‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, জবাব দে’ স্লোগানে উত্তাল ঢাবি

‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, ভিসি তুই জবাব দে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাবির ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল।

সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটের দিকে হলের শিক্ষার্থীরা নিচে নেমে আসেন। এ সময় হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, হলের নিচে শিক্ষার্থীরা টোকাই-পুলিশ গো ব্যাক গো ব্যাক, আমার উপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই, অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশনসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রভোস্টের উপস্থিতিতে হল থেকে বের হলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

এ সময় শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তাদের সঙ্গে অনেককেই বাগবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, চার ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর হামলা চালানো হলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো ভূমিকা নেয়নি। এখন কেন ক্যাম্পাসে পুলিশ আসবে? এতদিন আমরা যাদের পেছনে রাজনীতি করেছি তারাই এখন আমাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র করছে।

এদিন বিকেল ৩টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে সেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৩টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর দুইপক্ষ ইট-পাটকেল, লাঠিসোঁটা নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে। যোগ দেন ঢাকা কলেজসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের আরও নেতাকর্মী।

পরে সংঘর্ষের একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠি-রড নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিতেও দেখা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *