দিনের শুরুটা হোক অ্যান্টি এজিং খাবার দিয়ে

বয়সের ছাপ সর্বপ্রথম চোখে মুখে লক্ষ্য করা যায়। চোখের নিচে কালশিটে দাগ, চোখের কোণে কুঁচকে যাওয়া ত্বক, কপালে বলিরেখা এগুলোই তো বার্ধক্যের লক্ষণ। আর যদি প্রথম থেকে নিজের যত্ন না নেন তাহলের সময়ের আগেই বুড়িয়ে যায় ত্বক। তখন বার্ধক্য রোধ করতে ও ত্বকের যত্ন নিতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করেন। বাজারজাত রাসায়নিক পণ্য কিছুটা কাজে লাগলেও, সম্পূর্ণ ফল মেলে না এগুলো ব্যবহারে। অনেক সময় এসব পণ্য ব্যবহারে ত্বকের উপকার কম এবং ক্ষতি বেশি হয়।

সেক্ষেত্রে সবার আগে খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তাহলে এর প্রভাব আপনার ত্বক, মুখে ও চুলে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। সেজন্য অ্যান্টি এজিং ফুডকে আপনার ডায়েটের অংশ করুন। এর ফলে আপনার সৌন্দর্য বাহ্যিকভাবে নয় বরং অভ্যন্তরীণভাবে প্রতিফলিত হবে। জানুন এমনই কিছু প্রাকৃতিক খাবার সম্পর্কে যা, আপনার বার্ধক্য রোধ করবে। এই খাবারগুলো সকালের নাস্তায় খেলে মিলবে উপকার।

জেনে নিন, কোন খাবারগুলো সকালের নাস্তায় খেলে উপকার পাওয়া যাবে—

সয়া প্রোডাক্ট : সয়াবিন, সয়া ময়দা, সয়া দুধ এবং টফুর মতো সয়া পণ্যগুলো চর্বি কম এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। সয়া পণ্যে জেনিস্টিন থাকে যা, শরীরকে তরুণ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ডিম : একটি গবেষণায় সামনে এসেছে যে, ডিম খেলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ডিম ভিটামিন এ, বি এবং ই সমৃদ্ধ, যা বার্ধক্যের প্রভাব কমায়।

ডালিম বা বেদানা : ডালিম বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং শরীরের ডিএনএ-তে অক্সিডেশনকেও ধীর করে দেয়। এটি খেলে ত্বক ঝলমলে ও স্বাস্থ্যবান হয়। তাই প্রতিদিন ডালিম খাওয়া উচিত।

ভিটামিন সি : কমলালেবু, মৌসম্বী লেবু, আঙুর, পাতিলেবু, আমলকী ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড এবং লিমোনিনও পাওয়া যায়। একটি গবেষণা অনুসারে, সৃষ্টিকারী পদার্থ (কার্সিনোজেন) দূর করে। এসব জিনিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।

দই: দইয়ে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দইতে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে যা হজমে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হওয়া ছাড়াও এটি ত্বককে রাখে তরুণ।

অঙ্কুরিত শস্য: স্প্রাউট বা অঙ্কুরিত শস্য খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে সুরক্ষা মেলে। এতে পাওয়া বিটা-ক্যারোটিন, আইসোথিওসায়ানেটস (যা বিশেষ করে ব্রকলিতে পাওয়া যায়) ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ধরণের খাবার খেলে, একজন ব্যক্তি সারা জীবন তরুণ দেখায়।

হলুদ ফল: হলুদ ফল ও সবজি যেমন কুমড়ো, আম, এপ্রিকট, ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং এনজাইম পাওয়া যায়। এগুলো পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *