প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা নিয়ে যা জানা গেল

‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়। বাকি ২০ শতাংশ পদে পুরুষদের নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এরই কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা ও বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। নারী ও পোষ্য কোটা না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। প্রাথমিকের এ সচিব বলেন, ‘প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা একটা বিধিমালা আছে, সেটি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ নামে পরিচিত। এটি প্রজ্ঞাপন নয়, বিধিমালা। আইনের পর বিধিমালা, বিধিমালার পর প্রজ্ঞাপন, প্রজ্ঞাপনের পর অফিস আদেশ।’

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ বিধিমালায় যেসব বিষয় আছে, সেই বিষয়গুলোর সঙ্গে সরকার এখন যে চাকরির কোটার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, এটা আমাদের বিধিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। আমাদের বিধিমালায় কোনো অসামঞ্জস্যতা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বিধিমালা স্পষ্ট। ওখানে যেমন ৬০:২০ এই বিভাজনের কথা বলা আছে, তেমনি এটাও বলা আছে যে সরকার কোটাসংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করলে সেটা অনুসরণ করা হবে। আমরা যখন নিয়োগ কার্যক্রমে হাত দেব, তখন যদি আমাদের কাছে কোনো কনফিউশন মনে হয়, তাহলে তখন আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেব, সেই অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম চালাব।’

সূএ: Rtv । আরটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *