খেলাধূলা: খেলার তখন ১১৯ মিনিট। জার্মানি আর স্পেনের স্কোরলাইন ১-১। ঠিক তখনই গ্যালারিতে নীরবতা নামিয়ে আনেন মিকেল মেরিনো। এক কথায় বলা যায়, জার্মানদের সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসা। দানি ওলমোর দূর পাল্লার বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে দারুণ এক হেডে গোল করেন মেরিনো। তারপর যে উদযাপনটা করলেন, সেটা ছিল দেখার মতো।
সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস করে তিনি ছুটে যান বা দিকের কর্নার ফ্ল্যাগ ঘিরে তিনি যেভাবে ঘুরলেন সেটা ছিল একদমই ব্যতিক্রম। এই গোলেই স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো স্প্যানিশরা।
তবে এমন উদযাপন মেরিনোই প্রথম নয়, এর আগেও একজন করেছিলেন। তিনিও স্প্যানিশ, সেদিনও মাঠ ছিল এই স্টুটগার্ট। তবে সেটা স্পেনের জাতীয় দলের জার্সিতে নয়, দেশটির ফুটবল লিগ লা লিগার ক্লাব ওসাসুনার হয়ে গোল করে এমন উদযাপন প্রথমবার করতে দেখা গিয়েছিল ১৯৯১-৯২ মৌসুমে মিগুয়েল মেরিনোকে। নাম দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে। তারা আসলে সম্পর্কে বাবা-ছেলে। বাবার উদযাপনটা ইউরোতে ৩৩ বছর পর ফিরিয়ে আনলেন তিনি।
Father and son with similar celebrations after scoring a goal at the MHPArena.
July 5, 2024: Mikel Merino (Spain) vs. Germany.
November 5, 1991: Ángel Merino (Osasuna) vs. VfB Stuttgart. pic.twitter.com/36W8ZZY8Uh
— Mohamed Moallim (@iammoallim) July 5, 2024
৩৩ বছর আগে স্টুটগার্টের বিপক্ষেই ওসাসুনার হয়ে ১৭ মিনিটে উয়েফা কাপের ম্যাচে গোল করে কর্নার ফ্ল্যাগ ঘিরে চক্কর দেন। সেই ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছিল ওসাসুনা। ম্যাচ শেষে ২৮ বছর বয়সী মিকেল বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামে নিশ্চয়ই এমন কিছু আছে যা আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনে দেয়। আমার বাবা এখানে গোল করেছেন, এটা আমাদের কাছে বিশেষ একটি স্টেডিয়াম।’
পরে স্প্যানিশ এক রেডিওকে মিগুয়েল বলেন, ‘ছেলের গোল আমি অপরিসীম গর্বিত বোধ করছি। বিশেষ করে তার উদযাপনটার জন্য। যদিও আমরা সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। তাই আমি এখন চুপ করে থাকব। ছেলেকে অবশ্যই ইউরোপ সেরার ট্রফি স্পর্শ করতে হবে।’