ফেসবুকে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তির ছড়াছড়ি, নেপথ্যে কী

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢুকলেই নিখোঁজের বিভিন্ন তথ্য দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরগরম হয়েছেন অনেকেই। বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে শিশু নিখোঁজের স্ট্যাটাস ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব স্ট্যাটাস সত্য ভেবে অনেকেই আবার শেয়ার দিচ্ছেন। এতে জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। তবে পুলিশ বলছে, নিখোঁজের কোনো তথ্য নেই তাদের কাছে। যে বা যারা এসব তথ্য সত্য বলে পোস্ট করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, এগুলো শুধুই গুজব। যাদের হারিয়ে যাবার তথ্য ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে, তারা বেশকিছু সময় বাসায় ছিল না। কোনো কোনো শিশু তাদের বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিল। শনিবার (৬ জুলাই) সারাদিন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ এবং ব্যক্তিগত আইডি থেকে শিশু-কিশোরদের হারানোর তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এর অধিকাংশই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাকেন্দ্রিক ফেসবুক আইডি থেকে ছড়ানো হয়। রোববার (৭ জুলাই) সংবাদমাধ্যমকে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বাচ্চা নিখোঁজের কোনো তথ্য নেই। প্রতিমাসে স্বাভাবিক নিখোঁজ থাকে, তবে চোখে পড়ার মতো না।’

বেশ কয়েকটি বড় বড় ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ‘গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ চট্টগ্রামে ৩৫ বাচ্চা নিখোঁজ’-এর অসংখ্য পোস্ট দেখা গেছে। এসব নিখোঁজ সংবাদে চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। ফেসবুকে জনপ্রিয় একজন তার পোস্টে লেখেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ! সারাদেশে এগুলো কি শুরু হলো হঠাৎ! একটানা এত ছেলেমেয়ে নিখোঁজের সংবাদে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ছেলেধরার মতো, কোনো একটা সক্রিয় চক্র মাঠে নেমেছে। সবাই সাবধান হন। এ ব্যাপারে প্রশাসন অর্ধমৃত। আপনার সন্তানের নিরাপত্তায় আপনি সচেতন হন। নিউজটি দ্রুত শেয়ার করে সবাইকে অ্যালার্ট করে দিন।’

‘NTRCA শিক্ষক নিবন্ধন (প্রস্তুতি)’ পেজ থেকে রাতে লেখা হয়েছে, ‘ব্রেকিং নিউজ! গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ চট্টগ্রামে ৩৫টি বাচ্চা নিখোঁজ। সতর্ক থাকুন।’

দিনব্যাপী এসব পোস্টগুলো থেকে দেখা যায়, কয়েকটি পোস্টে কেবল মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ হচ্ছে, আবার কিছু পোস্টে মুসলিম ছাত্র, আবার কোথাও মেয়েদের নিখোঁজের কথা বলা হয়েছে। কোথাও কোথাও ঢাকা, চট্টগ্রামের সঙ্গে অন্য জেলার নামও যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর পোস্ট নিশ্চিত না হয়ে বিশ্বাস করবেন না। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *