বিশ্বকাপ জিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে গিয়ে হারল ভারত

বিশ্বকাপ জিতে ভারতের দেশে ফেরার এক সপ্তাহও পার হয়নি। এরই মাঝে আবারও ক্রিকেটে ফিরল দেশটি। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ভারত। হারারেতে ভারত অবশ্য নামিয়েছিল নিজেদের তরুণ দলকে। সেই দলই ধরাশায়ী হলো স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

১১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১০২ রানেই থামে নতুন দিনের ভারত। বিশ্বকাপের পর নতুন প্রজন্মের তারকাদেরই রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে পাঠিয়েছিল বিসিসিআই। তবে আইপিএলে পরীক্ষিত তারকারা এদিন হোঁচট খেয়েছেন জিম্বাবুয়ের মাটিতে। ১৩ রানের হারে নিজেদের যাত্রা শুরু করলো শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারত।

মূল দল বিশ্রামে। তবুও ভারত দলে পরীক্ষিত তারকার অভাব ছিল না। শুভমান গিল বেশ অনেকটা দিন ধরেই ভারতীয় দলের প্রতিষ্ঠিত তারকা। রিঙ্কু সিং, রবি বিষ্ণোই, আভেশ খানরাও টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত মুখ। এছাড়া রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুড়েল, ওয়াশিংটন সুন্দর কিংবা রুতুরাজ গায়কোয়াড়রা বরাবরই নিজেদের প্রমাণ করেছেন আইপিএলের মতো বড় স্টেজে।

কিন্তু জিম্বাবুয়ে যেন হারারেতে তাদের চেনাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রূপ। একসময়ে ক্রিকেটে বড় নাম হয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। বর্তমানে যাদের বিশ্বকাপেও নিয়মিত দেখা যায় না। সিকান্দার রাজাদের সেই দলের কাছেই হারতে হলো ভারতকে। ১১৬ রানের টার্গেটে নেমে গিল, ওয়াশিংটন এবং আভেশ খান ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি ভারতের কোন ব্যাটারই। ডাক মেরেছেন দুই মারকুটে ব্যাটার অভিষেক শর্মা এবং রিংকু।

রুতুরাজের ৭, ধ্রুব জুড়েলের ৬ আর রিয়ান পরাগের ২ রানের ইনিংস চাপ বাড়িয়েছে ভারতের। শেষদিকে আভেশ ৩ চারে ১৬ আর ওয়াশিংটনের ২৭ রান করে ভারতকে জয় এনে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রবলভাবে। কিন্তু দিনটি ছিল জিম্বাবুয়ের। তেন্দাই চাতারা আর সিকান্দার রাজার ৩ উইকেট শিকারের দিনে ভারতকে থামতে হলো জয় থেকে ১৩ রান দূরে।

ব্যাট হাতে জিম্বাবুয়ে এদিন খুব বড় কিছু করে দেখাতে পারেনি। ওয়েসলি মাধেভেরে, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, ডিওন মেয়ার্স, ক্লাইভ মাদান্দে প্রত্যেকেই খেলেছেন ছোট ছোট ইনিংস। তবে এক বেনেট ছাড়া আর একই ব্যাট করতে পারেননি টি-টোয়েন্টি মেজাজে। রবি বিষ্ণোই নিজের ৪ ওভারে ১৩ রানের খরচায় পেয়েছেন ৪ উইকেট। ১১ রানে ২ উইকেট পেয়ে জিম্বাবুয়েকে আটকে রাখতে সাহায্য করেছেন ওয়াশিংটন সুন্দরও। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১১৫ রান।

১১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দাঁড়াতেই পারেনি ভারতের ব্যাটিং ইউনিট। হারারের ধীরগতির উইকেটে ৫০ রান পেরুনোর আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। সেখান থেকে আভেশ খান আর ওয়াশিংটন সুন্দর মান বাঁচানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও ব্লেসিং মুজারাবানি, সিকান্দার রাজা আর তেন্দাই চাতারার ডেথ ওভারের বোলিংয়ের সামনে ম্যাচ ফেরানো হয়নি তাদের। ১৩ রানের হারটাই তাদের সঙ্গী হলো তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *